থিয়েটারের গান
উনিশ
শতকের দ্বিতীয়ার্ধ । ইতিমধ্যে দেশাত্মবোধের বিকাশ শুরু হয়েছে, মধ্যবিত্ত বাঙালির জনরুচিতে পরিবর্তন
স্পষ্ট হচ্ছে । রামনারায়ণ তর্করত্ন সমাজ সংস্কারমূলক নাটক লিখলেন ‘কুলীন কুল সর্বস্ব’(১৮৫৮),
নাট্যক্ষেত্রে প্রবল আবির্ভাব হল মাইকেল মধুসূদন দত্তর
। ১৯৭২এর ৭ই ডিসেম্বর সাধারণ রঙ্গালয়ের প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে থিয়েটারের দ্বার
উন্মুক্ত হয়ে গেল সর্বসাধারণের জন্য । বাংলা গানও যেন মুক্তির স্বাদ পেতে চলেছে । বাংলা গানের মুক্তির প্রস্তুতিতে আরো সুদূর প্রসারী প্রভাব ফেলল থিয়েটারের গান ।
উনিশ
শতকের দ্বিতীয়ার্ধে বাংলা গান বলতে কবিগান, আখড়াই তরজা, পাঁচালী গান আর বিত্তশালী
বাবুদের বাগানবাড়ি, রক্ষিতা গৃহে চটুল আদিরসাত্মক গান । গান তখনও সাধারণ মানুষের
বিনোদন সামগ্রী হয়ে ওঠেনি । থিয়েটারও ছিল জমিদার বাবুদের গৃহপ্রাঙ্গণে বন্দী । সাধারণ
মানুষ বিনোদনের ভাগ পেতো বিত্তশালীদের আয়োজিত পূজা, উৎসবের ঝুমুর, কবিগান, তরজা, পাঁচালী, যাত্রার আসর থেকে ।
১৮৭২এ
জমিদার বাবুদের প্রাঙ্গণ থেকে বাংলা থিয়েটার চলে এলো সাধারণ মানুষের নাগালে
ন্যাশানাল থিয়েটারের প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে । সাধারণ মানুষের কাছে রঙ্গালয়ের দরজা
খুলে গেলো, তারা টিকিট কেটে নাট্যাভিনয় দেখা আর গান শোনার সুযোগ পেল । থিয়েটার হয়ে
গেল বাঙালির বিনোদনের সেরা মাধ্যম । এবং থিয়েটারের গান । কলের গান বা গ্রামফোন
আসার আগে থিয়েটার ছাড়া বাঙালির গান শোনার আর কোন উপায় ছিল না । এখন বাংলা থিয়েটার থেকে গান প্রায় নিরুদ্দেশ হয়ে
গেলেও সেকালে গানই ছিল থিয়েটারের প্রাণ, সে যুগের নাটকের সেরা উপাদান । নাট্যকাহিনীর
সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হোক বা না হোক নাটকে
একাধিক গান রাখতে হত, না হলে সে নাটক দর্শক আনুকুল্য পেত না । গিরিশচন্দ্র ঘোষ
তাঁর নাটকের জন্য অসংখ্য গান লিখেছিলেন । গান ছাড়া নাটক লেখার কথা সে যুগের
নাট্যকাররা ভাবতেই পারতেন না । সাধারণ মানুষের কাছে থিয়েটারের দরজা খুলে যাবার পর
বিশ শতকের প্রথম দশকে কলের গান আসার আগে পর্যন্ত প্রথম তিরিশ বছরে সঙ্গীতবহুল গীতিনাট্যই মঞ্চস্থ হয়েছে ষাটটি ।
কেমন ছিল সে সব গান তা জানার উপায় নেই । সেইসব থিয়েটারের গান, - বিনোদিনী, গঙ্গামণি,
কৃষ্ণভামিনী, গোলাপসুন্দরী, হরিমতি, তারাসুন্দরীদের সেইসব গান হারিয়ে গেছে । ক্ষীরোদপ্রসাদ
বিদ্যাবিনোদের প্রবাদপ্রতীম নাটক ‘আলিবাবা’য়
ছিল ৩৬টি গান । এমন নয় যে থিয়েটারের গানগুলির লোকপ্রিয়তা শুধু সে যুগেই সীমাবদ্ধ
ছিল, সেদিনের থিয়েটারের অনেক গান যেগুলির সংরক্ষণ করা গেছে, শতাধিক বছর পরে আজও
কথা ও সুরের মায়ায় আমাদের আন্দোলিত করে । এযুগের শিল্পীরা সেইসব গানের রিমেক করছেন
। শিশির কুমার ভাদুড়ীর পরিচালনায় দ্বিজেন্দ্রলালের ‘চন্দ্রগুপ্ত’নাটকে অন্ধ
ভিক্ষুকের চরিত্রে দুটি গান গেয়েছিলেন কৃষ্ণচন্দ্রে দে ‘ওই মহাসিন্ধুর ওপার হতে কি
সংগীত ভেসে আসে’ এবং ‘ঘন তমসাবৃত অম্বর ধরণী’। গানদুটি নাট্যসঙ্গীতের ইতিহাসে লিজেন্ড হয়ে আছে
। আজ থেকে প্রায় আশি বছর আগে ‘নর্তকী’ নাটকে
অতুলপ্রসাদ সেনের ‘আমার জীবন নদীর ওপারে, এসে দাঁড়ায়ও দাঁড়ায়ও বধু হে’ গানটি
গেয়েছিলেন আঙ্গুর বালা । আজও সেই গানটি পূণর্নির্মাণ করেন একালের শিল্পী । সে গান
শুনে আমাদের মুগ্ধতা যায় না ।
১৯০৫এর
বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের উত্তাল সময়ে দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের দেশাত্মবোধক থিয়েটারের
গানগুলি ‘যেদিন সুনীল জলধী হইতে উঠিলে জননী ভারতবর্ষ’, ‘বঙ্গ আমার জননী আমার’, সাজাহান
নাটকের ‘ধন্যধান্য পুষ্প ভরা’ স্বদেশী আন্দলনের চারণমন্ত্র হয়ে উঠেছিল ।
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের প্রায় সব গানই থিয়েটারের জন্য লেখা । সাজাহান নাটকে ‘আমি এসেছি,
এসেছি বধু হে’, ‘আমি সারা সকালটি বসে বসে’, নূরজাহান নাটকে ‘আয়রে বসন্ত তোর কিরণ
মাখা পাখা মেলে’ গানগুলি এখনো আচ্ছন্ন করে আমাদের ।
ধ্বনি
মুদ্রন বা গ্রামফোন রেকর্ড এসেছিল অনেক পরে, তাছাড়া নাট্যমঞ্চ থেকে সরাসরি
রেকর্ডিং বা ধ্বনিবদ্ধ করার ব্যবস্থা তখন কল্পনাতেও ছিল না । ফলে থিয়েটারের গানের
বিপুল ঐশ্বর্যের সামান্যই সংরক্ষিত আছে ।
১৮৭২এ
প্রতিষ্ঠিত সাধারণ রঙ্গালয়ের প্রথ যুগে নাট্যগীতির অগ্রগণ্য সুরস্রষ্টা ছিলেন
রামতারণ সান্যাল । ১৮৭৬এর১৯শে ফেব্রুয়ারি গ্রেট ন্যাশনাল থিয়েটারে ‘জগদানন্দ ও
যুবরাজ’নামক ব্যঙ্গ নাটকের সঙ্গীত পরিচালক হিসাবে যোগদান করেন । ১৮৭৬এর ৪ঠা মার্চ
গ্রেট ন্যাশনাল থিয়েটারে গীতি নাট্য ‘সতী কি কলঙ্কিনী’ অভিনয়কালে কলকাতা পুলিশের
ডেপুটি কমিশনার প্রেক্ষাগৃহে প্রবেশ করে তিয়েটারের মালিক, নাট্যকার ও অন্যান্য
কলাকুশলীদের গ্রেপ্তার করে । তাদের মধ্যে ছিলেন সঙ্গীত পরিচালক রামতারণ সান্যালও ।
এই বছরেই ইংরাজ সরকার লাগু করেন কুখ্যাত নাট্যনিয়ন্ত্রণ আইন । বাংলার সাধারণ
রঙ্গালয়ের বয়স তখন সবেমাত্র চার বছর । রামতারণের পূর্বে থিয়েটারে সঙ্গীত শিক্ষা
দিতেন মদনমোহন বর্মন । সঙ্গীত পরিচালক রূপে থিয়েটারে প্রবেশ করলেও রামতারণ অভিনয়ও
করতেন গিরিশচন্দ্রের অনেক নাটকে সঙ্গীত পরিচালনার সঙ্গে অভিনয়ও করতেন । রামতারণের
আগে থিয়েটারে গানে পুরাতন গানের আদর্শ অর্থাৎ প্রচলিত সুর গ্রহণ করা হত । সেই
আদর্শে নাট্যকাররা তাদের মনের মত কথা বসাতেন । গিরিশচন্দ্রও এই রীতিতে নাট্যগীতি
রচনা করতেন । রামতারণই প্রথম গিরিশচন্দ্রকে বললেন তাঁর মনের মত নাট্যগীতি রচনা
করতে এবং গানের নাটকীয়তার প্রকৃতি অনুসারে সুর রচনা করলেন । অর্থাৎ সুর আনুযায়ী
কথা নয় কথা অনুযায়ী সুরসংযোগ । নাট্যসঙ্গীত রচনার ক্ষেত্রে এ ছিল এক আমূল পরিবর্তন
। গিরিশচন্দ্রের বহু কীর্তিমান নাটক চৈতন্যলীলা, বেল্লিক বাজার, মলিনা বিকাশ,
পারস্যপ্রসূন, প্রফুল্ল, মায়াতরু, প্রভাস যজ্ঞ, মোহিনী প্রতীমা, মলিনমালা,পলাশীর
যুদ্ধ, বিল্বমঙ্গল প্রভৃতি মঞ্চসফল নাটকে নাট্যসঙ্গীত রচনা করেছিলেন রামতারণ ।
রামতারণ পরিচিত হয়েছিলেন ‘অপেরা মাষ্টার’ নামে । রামতারণের সমকালেই নাট্যসঙ্গীত
রচনায় খ্যাতি পেয়েছিলেন আর একজন, তিনি দেবকন্ঠ বাগচী ।
বাংলা
থিয়েটারে মহাকবি গিরিশচন্দ্রের অমর কীর্তি ‘চৈতন্যলীলা’ নাটক, যে নাটকে বিনোদিনীর
অভিনয় গানে বিহবল হয়ে পড়েছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস । বিনোদিনীকে আশীর্বাদ
করেছিলেন ‘মা, তোর চৈতন্য হোক’ বলে । কেমন ছিল চৈতন্যলীলায় বিনোদিনীর গান তা জানার
উপায় নেই । কিন্তু ‘চৈতন্যলীলা’র গান যে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখতো তার বর্ণনা সেই
সময়কার পত্র-পত্রিকা ও নানা বিবরণ থেকে জানতে পারি । বিনোদিনী তাঁর আত্মকথা ‘আমার
কথা’য় বর্ণনা করেছেন – “... সন্যাস গ্রহণ করিয়া মাতা শচীদেবী নিকট বিদায় লইবার সময়
যখন বলিতাম –
কৃষ্ণ
বলে কাঁদো মা জননী।
কেঁদো
না নিমাই বলে।
কৃষ্ণ
বলে কাঁদিলে সকল পাবে,
কাঁদিলে
নিমাই বলে,
নিমাই
হারাবে কৃষ্ণে নাহি পাবে ... শচীমাতার সেই হৃদয়ভেদী মর্মবিদারণ শোকধ্বনি, নিজের
মনের উত্তেজনা, দর্শকবৃন্দের ব্যগ্রতা আমায় এত অধীর করিত যে আমার দুই চক্ষের জলে
নিজে আকুল হইয়া উঠিতাম , শেষ সঙ্কীর্তন কালে “হরি মন মজায়ে লুকালে কোথায় । আমি ভবে একা দাওহে দেখা প্রাণসখা রাখ পায়” এই
গানটি গাহিবার সময়ের মনের ভাব আমি লিখিয়া জানাইতে পারিব না” ।
মহাকবি
গিরিশচন্দ্রের মৃত্যু হয় ১৯১২তে, অমরেন্দ্রনাথ দত্ত চলে যান ১৯১৬তে,
দ্বিজেন্দ্রলালও চলে যান ১৯১৩তে ফলে নাট্যসঙ্গীত রচনা ও প্রয়োগ কিছুটা কমে যায় ।
ততদিনে অবশ্য গ্রামফোন চলে আসায় গ্রামফোন রেকর্ডে গান শোনার যুগ শুরু হয়ে গেছে,
মানুষের জনরুচিরও কিছু পরিবর্তন হয়েছে । তারপর ১৯৩১এ বাংলা চলচ্চিত্র সবাক হয়ে
থিয়েটারের প্রবল প্রতিদ্বন্দী রূপে দেখা দেয় । ফলে গীতিবহুল নাটকের অভিনয় ও
থিয়েটারে গানের প্রয়োগে কিছুটা ভাটার টান আসে ।
পরবর্তী
কালে নজরুল ইসলামই সর্বাধিক থিয়েটারের গান রচনা করেছিলেন ও সুর দিয়েছিলেন । ১৯২৯এ
শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত ‘রক্তকমল’ নাটকে সঙ্গীত রচনার মধ্য দিয়ে থিয়েটারের গানে
প্রবেশ করেছিলেন, তারপর দেড় শতাধিক গান লিখেছেন ও সুর দিয়েছেন । রক্তকমল নাটকে ৯টি
গান ছিল, গেয়েছিলেন ইন্দুবালা ও সরযুবালা
দেবি । ঐ বছরের ডিসেম্বরে অভিনীত মন্মথ রায়ের ‘মহুয়া’ নাটকে ১৪টি গান ছিল, সঙ্গীত
পরিচালনা করেছিলেন নজরুল । ১৯৩০এ মন্মথ রায়ের ‘কারাগার’ নাটকটি বৃটিশ বিরোধি
আন্দোলনের হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল ১৮টি অভিনয়ের পর নাটকটি নিষিদ্ধ ঘোষীত হয় । এ নাটকের
১৮টি গানের সঙ্গীত রচনা করেছিলেন নজরুল ।
এখনও
জনপ্রিয় অনেক গানই নজরুল থিয়েটারের জন্য লিখেছিলেন । ‘কেউ ভোলে না কেউ ভোলে’, ‘মোর
ঘুমঘোরে এলে মনোহর’, ‘প্রাণ বাগিচার ভোমরা আমি’, ‘বউ কথা কও বউ কথা কও’, ‘ভোরের
হাওয়া এলো ঘুম ভাঙ্গাতে’, ‘ঝরা ফুল দলে কে অতিথি’ এরকম অনেক গানই থিয়েটারের জন্য
লিখেছিলেন নজরুল।
এছাড়া
বহু খ্যাতকীর্তি সাহিত্যিক – জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর, হেমেন্দ্রকুমার রায়, সজনীকান্ত
দাশ, প্রেমেন্দ্র মিত্র, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ থিয়েটারে গান লিখেছেন । তিরিশের দশকে থিয়েটারের সঙ্গীত রচনায় খ্যাতি
পেয়েছিলেন তুলসীদাস লাহিড়ী । ঐ সময়ে পেশাদারী মঞ্চের চোদ্দটি নাটকে গান লিখেছিলেন
এবং সুর সংযোজন করেছিলেন তুলসী লাহুড়ী ।
তারপর গত শতকের চল্লিশের দশকে গণনাট্যের প্রভাবে
আমাদের থিয়েটার ভাবনায় আমূল পরিবর্তন এসে যায়
। নাটকে প্রাধান্য পায় গণমানুষের আশা-আকাঙ্খা, তার হাসিকান্না, তার
জীবন-জীবিকার সংগ্রামের ছায়াপাত সেই সময়কার নাটকে । আমাদের পেশাদারী রঙ্গালয়ের
ক্ষয়ের যুগও শুরুও সেই সময় থেকে ।
গত
শতকের ষাট ও সত্তর দশকে গ্রুপ থিয়েটারের অনেক প্রযোজনায় থিয়েটারের গানের সার্থক প্রয়োগ
আমরা দেখেছি । উৎপল দত্তর লিটল থিয়েটারের কল্লোল, টিনের তলোয়ার , তিতাস একটি নদীর
নাম নাটকগুলিতে গানের প্রয়োগ ছিল, তিতাস...এ সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন খ্যাত কীর্তি
হেমাঙ্গ বিশ্বাস । প্রায় একই সময়ে নান্দীকারের
‘ভালো মানুষ’ ও ‘তিনপয়সার পালা’, খড়ির গন্ডীতে সার্থক ‘থিয়েটারের গান’ আমরা পেয়েছি
। ভালোমানুষ নাটকে ৪টি গান লিখেছিলেন ও
সুর দিয়েছিলেন অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়। অপেরাধর্মী নাটক ‘তিন পয়সার পালার’ও সঙ্গীত
রচনা করেছিলেন অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় । ষাট দশকের থিয়েটারের গান প্রসঙ্গে অজিতেশের
পরেই যে নামটি আসবে সেটি ‘চেতনা’ নাট্যগোষ্ঠী । অরুণ মুখার্জীর পরিচালনায় ‘মারীচ
সংবাদ’ নাটকের গান আলোড়ন তুলেছিল । এর পর আলোড়িত হবার মত থিয়েটারের গান বাংলা মঞ্চে
খুব বেশি পাইনি, হয়তো আছে, আমার সে নাটক দেখা হয়নি । তবে সাম্প্রতিক কালের একটি
নাটকের কথা না বললে সত্যের অপলাপ হবে, সেটি হল গোতম হালদার পরিচালিত ‘ময়মনসিংহ
গীতিকা’ । এই সময়ের বাংলা নাট্যমঞ্চে থিয়েটারের গানের শ্রেষ্ঠ প্রয়োগকর্তা ও গায়ক
হলেন গৌতম হালদার এ কথায় আমার অন্তত কোন সংশয় নেই ।
সময়ের
স্রোতে অন্যান্য বাংলা গানের মত থিয়েটারের গানের ধারাতেও বিবর্তন এসেছে । এসেছে
গানের ভাষা ও সুর ও গায়কীর পরিবর্তন, লেগেছে
আধুনিকতার প্রলেপ । তবুও থিয়েটারের গান এখনও আমাদের সমানভাবে আকর্ষণ করে
যেমন করতো থিয়েটারের সেই আদি যুগে ।
কীর্তন,
রামপ্রসাদী, বিদ্যাসুন্দর, আখড়াই, তরজা, টপ্পা, পাচালী, থিয়েটারের গানের পর্ব
পেরিয়ে এবার বাংলা গান হয়ে উঠবে বিপণন সামগ্রী । তৈরি হবে বাংলা গানের বাজার । সে
পৌছাবে গ্রামফোন রেকর্ডের যুগে । সে কথা আগামী পর্বে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন