উৎসব তখন এবং এখন

 উৎসব তখন এবং এখন

সাড়ে তিনখানা অক্ষরের একটা শব্দ – উৎসব । শুনলেই বাঙালির হৃদয় কেমন যেন চনমন করে । আর একালে তো কর্পোরেট কৃপায়  উৎসবের ছড়াছড়ি, বঙ্গোৎসব থেকে ইলিশ উৎসব বাঙালির ‘বারোমাসে তেরো পার্বন’ বলার আর জো নেই । আমাদের একালের উৎসবের দুটি রূপ বেশ নজরে পড়ে । শহরের কর্পোরেট দাক্ষিণ্যের জাঁকজমক আর উৎসবের লোকায়ত রূপ । আদতে অবশ্য সব উৎসবেরই সূত্র রয়েছে এর লোকায়ত রূপটির মধ্যে, আমাদের লোকজীবনের মধ্যে উৎসব বোধয় সভ্যতার ঊষালগ্নে গোষ্ঠী মানুষের আদিমতম প্রবৃত্তি । গোষ্ঠী মানুষ যেদিন নিজে খাদ্যশস্য ফলাতে শিখলো সেদিন সে সৃষ্টির আনন্দে উৎসব করেছিল ।  খাদ্যশস্য ফলানো্র মধ্য দিয়ে প্রকৃতির বিরুদ্ধে তার লড়াই শুরু হয়েছিল । লোকায়ত উৎসবগুলি তাই গোষ্ঠী মানুষের বেঁচে থাকার অনন্দেরই স্বতশূর্ত প্রকাশ । তারপর নানান বিবর্তনে এর সঙ্গে মিশেছে মানুষের বিশ্বাস, ধর্মাচরণ আর তার সৃজনমুখী সুকুমার প্রবৃত্তির সংযোগ । সময়ের প্রবল স্রোতে শত ভাঙাগড়ার মধ্যেও আজও লোক পরম্পরায় আমাদের টানে উৎসবগুলি

আমাদের সব উৎসবেরই মূল ভিত্তি যৌথকর্ম আর আনন্দের যৌথ উপভোগ । সেইসঙ্গে একথাও মানতে হয় যে উৎসবগুলিকে কেন্দ্র করে জাঁকজমক ও বিত্তের প্রদর্শনীতে অনেক অয়োজনই হারিয়েছে তার স্বতস্ফূর্ততা । তা সত্তেও, সেই স্কুলপাঠ্যে পড়া বাক্যটি ‘আমাদের উৎসবে ভাবেরই প্রাধান্য’ এটা বোধ করি এখনও চিরকালীন সত্য । রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, প্রতিদিন মানুষ ক্ষুদ্র দীন একাকী। কিন্তু উৎসবের দিন মানুষ বৃহৎ, সেদিন সে সমস্ত মানুষের সঙ্গে একত্র হইয়া বৃহৎ, সেদিন সে সমস্ত মনুষ্যত্বের শক্তি অনুভব করিয়া মহৎ বাঙালির সকল উৎসবের মধ্যে একটা সর্বজনীন রূপ আছে। এতে ধর্ম, সম্প্রদায়, জাত-পাত বা ধনী-গরিবের সামাজিক বিভক্তি বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। বরং সকল শ্রেণির মধ্যে সেতুবন্ধন রচিত হয়। আর এ কারণেই কালের বিবর্তনের সঙ্গে আনু আনুষ্ঠানিকতার ধরণ পাল্টালেও বাংলার সামাজিক উৎসব,পার্বণ বা গণমানুষের মেলবন্ধনের ঐতিহ্য,কৃষ্টি, আজও বহমান ।

শশাঙ্কদেবের সময় থেকে বাঙ্গালির জাতিগত অবয়ব প্রকাশ পেতে শুরু করে । তারপর পাল রাজাদের আমলে বাঙালি জাতিসত্বার বিকশিত হয়ে ওঠে এবং পরবর্তী সেন বংশের শাসনকাল পর্যন্ত এই বিকাশধারা অব্যাহত থাকে । তারপর তুর্কি আক্রমণ এবং তুর্কি বিজয়ের পরের দুশো বছর বাংলার সমজজীবনের অন্ধকার যুগ । এই দুশো বছর যেমন বাংলা সাহিত্যের কোন নিদর্শন পাওয়া যায়নি, তেমনই সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রটিও ছিল তমসাবৃত । অন্ধকার পর্ব জুড়ে বাংলার সামাজিক জীবনে চলেছিল নানান ভাঙ্গা-গড়া । অন্ধকার চিরস্থায়ী হয় না, হয়নিও । ষোড়শ শতাব্দীতে শ্রী চৈতন্যের আবির্ভাবে বাংলার সমাজজীবনে এল ঐশ্বর্যের কাল – নবজাগরণ । চৈতন্যদেব হিন্দু সমাজকে একেবারে ভেতর থেকে টলিয়ে দিলেন, তাঁর নগর সংকীর্তন আর ভক্তি রসের বন্যায় ভাসিয়ে দিল গোটা সমাজকে, জাতি-ধর্ম উঁচুনিচু সব ব্যবধান ঘুচিয়ে দিয়ে । বস্তুত আমাদের উৎসবগুলি যে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মহামিলনের কেন্দ্র হয়ে ওঠে তা চৈতন্যযুগেরই শিক্ষা । মুঘল যুগে বাংলার সমাজজীবন সংহত হতে শুরু করলো । বাংলার শ্রেষ্ঠতম উৎসব দুর্গোৎসবের সূচনা মুঘল আমলে । মুঘল বাদশাহ আকবরের মৃত্যুর পরের বছর ১৬০৬ সনে নদিয়া জিলার তাহেরপুরের জমিদার কংশনারায়ন রায় বাংলায় প্রথম দুর্গাপূজার আয়োজন করেন । এর চারবছর পরে বড়িষার সাবর্ণ চৌধুরীরা দুর্গাপূজার আয়োজন করেছিলেন, যেটি চারশো বছর ধরে আজও চলছে ।

মুঘল আমলে জায়গীর প্রাপ্ত রাজা, ভূইয়ারা দুর্গা পূজার আয়োজন করতেন আর প্রজারা মেতে উঠতেন, স্বতস্ফূর্ত আনন্দ ভাগ করে নিতেন । নানান পেশার গ্রামীণ মানুষজন উৎসবে অংশ নিতেন ।  তখনকার গ্রামসমাজের বৈশিষ্ট্যের গুণে এই আয়োজনগুলি পরিণত হত সামাজিক লোকোৎসবে । যে বিত্তবান পরিবারে দূর্গাপূজা হত সেই পরিবারের সকলে যে যেখানেই থাকুন, চলে আসতেন পূজার সময়গ্রামের সকল জাতের, সকল পেশার মানুষের ডাক পড়তো, তারা উৎসব আনন্দে অংশ নিতেন । অচল, স্থির, আধুনিকতার তরঙ্গহীন গ্রামসমাজে প্রাণসঞ্চার করতো এইসব উৎসব, পালাপার্বণ । সেই গ্রামসমাজে বাস্তব জীবনের সমস্ত বিরোধ-বিবাদের মধ্যেও মিলনের আবহ নির্মাণ করতো দুর্গোৎসবগুলি । শুধু দুর্গোৎসবই বা কেন, নবান্ন, রাসযাত্রা, রথযাত্রা, গাজন, ইত্যাদি লোক পরম্পরার উৎসব / পার্বনগুলি আমাদের সংস্কৃতিকে ঐশ্বর্যমন্ডিত করেছে ! বাঙ্গালির উৎসবগুলির মধ্যে দূর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে যে উৎসব সেটিই প্রাধান্য পায় কারণ দুর্গাপুজার সবচেয়ে ব্যয়বহুল আয়োজন এবং তা কয়েকদিন ধরে চলে । ইংরেজরা আসার পর বাংলায় কলকাতা কেন্দ্রিক যে শহুরে সংস্কৃতির পত্তন হয় তাতে দুর্গোৎসবের জাঁকজমক ইংরাজ আগমনের ফলে সর্বাধিক লাভবান বিত্তশালী শ্রেণীটির বিত্ত ও ক্ষমতা প্রদর্শনের সেরা মাধ্যম হয়ে ওঠে ।

বঙ্কিমচন্দ্র কোন এক উৎসব প্রসঙ্গে একটা উক্তি করেছিলেন যে, “... প্রথমত আমরা এ উৎসবে লাভ করিয়াছি রাজভক্তি । অনেকে বলিবেন আমাদের রাজভক্তি ছিল বলিয়াই উৎসব করিয়াছি । সকলেই বুঝেন যে, ঠিক তাহা নহে; অন্য কারণে এ উৎসব উপস্থিত হইয়াছে । উৎসবেই আমাদের রাজভক্তি বাড়িয়াছে । রাজভক্তি বড় বাঞ্ছনীয়” উনিশ শতকের বাংলার নবনির্মিত শহুরে সংস্কৃতিতে এই উৎসবগুলি জাকজমক যে বিত্তশালীদের বিত্তের প্রদর্শনী হয়ে উঠেছিল তার পেছনে ছিল রাজভক্তি । রাজভক্তির সে’কাল না থাক, একালেও থিম পূজা নামক জাকজমকের দৌরাত্মেও  বিত্তের প্রদর্শনীই বড় ভূমিকা নেয় ।

পূজোর সময় একালে যেমন গানের জলসা হয় সেকালে তেমনই  বাইজীর নাচ ছিল উৎসবের অঙ্গ । এইসব বাইজীরা সাধারণত মুসলমানই হত ... “দুর্গোৎসব রাসযাত্রা প্রভৃতিতে যবনীর নৃত্যগীতাদি এবং ইঙ্গরেজদের মদ্যমাংস ভোজনাদিতে কোন দোষ দৃষ্ট করেন না”(সংবাদপত্রে সেকালের কথা) উনিশ শতকের সেই সময়ে আমাদের শহুরে সংস্কৃতিক জাগরণকালে দুর্গোৎসব ছাড়াও চৈত্র সংক্রান্তির চড়ক উৎসব, মাহেশের রথযাত্রা, দোল উৎসব, রাসউৎসব ইত্যাদি পালিত হত ধুমধামের সঙ্গেএই উৎসবগুলি তখনই যে প্রচলিত হয়েছিল এমন নয়, এগুলি পরম্পরাগতভাবে পালিত হত আর মিশে ছিল আমাদের লোকজীবনের সঙ্গে, এখনও যেমন আছে । ইংরেজ আমলে কলকাতার নগরায়নের ফলে এইসব উৎসবগুলি বিত্তশালী বাবুদের ফূর্তি আর দেদার টাকা ওড়াবার মাধ্যম হয়ে ওঠে । মাহেশের রথযাত্রায় কলকাতার বাবু্রা রক্ষিতা আর বাইজীদের নিয়ে নৌকা বিলাসে যেতেন দলে দলে মাহেশের রথ দেখতে,  সেইসব বৃত্তান্ত সেকালের সংবাদপত্র ও সাহিত্যে রয়েছে । জদ্ধাত্রীপূজাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিনের যে উৎসব তা সর্বজনীন রূপ পেয়েছিল আঠেরো শতকের শুরুতে । সেকালে বিত্তশালী পরিবারগুলি আয়োজিত দুর্গৎসব সকলের জন্য অবারিত থাকতো না১৭৬১ সালে হুগলী জেলার গুপ্তীপাড়ার বারোজন যুবক সাধারণের কাছ থেকে চাঁদা তুলে বারোয়ারি পূজা শুরু করে । প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়ের ‘রামমোহন রায় ও তৎকালীন সমাজ ও সাহিত্য’ ‘সংবাদপত্রে সেকালের কথা’ গ্রন্থের উদ্ধৃতি থেকে জানতে পারি “নানা স্থান থেকে হাজার সাত টাকা তুলে সাতদিন ধরে তাঁরা ‘জগদ্ধাত্রী’ পূজা করেন । ইতিপূর্বে জগদ্ধাত্রী পূজা অজ্ঞাত ছিল । ...... বাংলাদেশের নানা স্থান থেকে গানের ওস্তাদরা নিমন্ত্রিত হয়ে আসেন; সাতদিন উৎসব-কোলাহলে গুপ্তিপাড়া মুখরিত হয়ে থাকে”

পূজোর সময় একালে যেমন গানের জলসা হয় সেকালে তেমনই  বাইজীর নাচ ছিল উৎসবের অঙ্গ । এইসব বাইজীরা সাধারণত মুসলমানই হত ... “দুর্গোৎসব রাসযাত্রা প্রভৃতিতে যবনীর নৃত্যগীতাদি এবং ইঙ্গরেজদের মদ্যমাংস ভোজনাদিতে কোন দোষ দৃষ্ট করেন না”(সংবাদপত্রে সেকালের কথা) উনিশ শতকের সেই সময়ে আমাদের শহুরে সংস্কৃতিক জাগরণকালে দুর্গোৎসব ছাড়াও চৈত্র সংক্রান্তির চড়ক উৎসব, মাহেশের রথযাত্রা, দোল উৎসব, রাসউৎসব ইত্যাদি পালিত হত ধুমধামের সঙ্গেএই উৎসবগুলি তখনই যে প্রচলিত হয়েছিল এমন নয়, এগুলি পরম্পরাগতভাবে পালিত হত আর মিশে ছিল আমাদের লোকজীবনের সঙ্গে, এখনও যেমন আছে । ইংরেজ আমলে কলকাতার নগরায়নের ফলে এইসব উৎসবগুলি বিত্তশালী বাবুদের ফূর্তি আর দেদার টাকা ওড়াবার মাধ্যম হয়ে ওঠে । মাহেশের রথযাত্রায় কলকাতার বাবু্রা রক্ষিতা আর বাইজীদের নিয়ে নৌকা বিলাসে যেতেন দলে দলে মাহেশের রথ দেখতে,  সেইসব বৃত্তান্ত সেকালের সংবাদপত্র ও সাহিত্যে রয়েছে । জদ্ধাত্রীপূজাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিনের যে উৎসব তা সর্বজনীন রূপ পেয়েছিল আঠেরো শতকের শুরুতে । সেকালে বিত্তশালী পরিবারগুলি আয়োজিত দুর্গৎসব সকলের জন্য অবারিত থাকতো না১৭৬১ সালে হুগলী জেলার গুপ্তীপাড়ার বারোজন যুবক সাধারণের কাছ থেকে চাঁদা তুলে বারোয়ারি পূজা শুরু করে । প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়ের ‘রামমোহন রায় ও তৎকালীন সমাজ ও সাহিত্য’ ‘সংবাদপত্রে সেকালের কথা’ গ্রন্থের উদ্ধৃতি থেকে জানতে পারি “নানা স্থান থেকে হাজার সাত টাকা তুলে সাতদিন ধরে তাঁরা ‘জগদ্ধাত্রী’ পূজা করেন । ইতিপূর্বে জগদ্ধাত্রী পূজা অজ্ঞাত ছিল । ...... বাংলাদেশের নানা স্থান থেকে গানের ওস্তাদরা নিমন্ত্রিত হয়ে আসেন; সাতদিন উৎসব-কোলাহলে গুপ্তিপাড়া মুখরিত হয়ে থাকে”

‘উৎসব’ মানুষের আনন্দ প্রকাশের যৌথ কর্ম । যুগে যুগে সেই আনন্দের প্রকাশের রকমফের হয়েছে, আনন্দ প্রকাশের উপলক্ষ্য বদলেছে কিংবা নব নব প্রকাশ হয়েছে প্রাচীন থেকে আধুনিক যুগে আধুনিক যুগে উনিশ শতক থেকে সংবাদপত্র ও সাহিত্যের প্রকাশ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে লোকজীবনের অঙ্গ উৎসবগুলি সম্পর্কে আমরা জানতে পেরেছি । নানান বিবর্তনের মধ্য দিয়ে সেগুলি সার্বজনীন রূপ পেয়েছে । দুর্গোৎসব তার আয়োজন বৈচিত্র, ব্যয় বহুলতা ও সর্বজনের অংশগ্রহণের নিরিখে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব তো বটেই, জাতীয় উৎ্গালিরও মর্যাদা পেয়েছে । এই উৎসবে সর্বশ্রেণীর মানুষের বিপুল যোগদান থাকে । এ এমন এক উৎসব, যাকে ঘিরে লাখো মানুষের রুজি -রুটির বন্দোবস্ত হয়একজন ঢাকবাদ্য শিল্পী কিংবা প্রতীমা শিল্পী, একজন দর্জি কিংবা প্যান্ডেল নির্মাণ-শ্রমিক তার সারা বছরের রুটির জন্য কিছু সংস্থান করে নেয় আর তারই পাশাপাশি বৃহৎ বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের লাভের কড়ির তহবিল ফুলিয়ে নেয় । হিন্দু ধর্মের যে সহনশীল উদার দিক, তার প্রভাবেই ধর্মীয় উপাচারকে ছাপিয়ে সামাজিক মিলনোৎসবের রূপ পেয়েছে দুর্গোৎসবএই উৎসবের শরীরে ধৃত আমাদের সমাজের নানান বিবর্তনের সাক্ষ্যসেই বিবর্তনের সাম্প্রতিকতম রূপ বৃহৎ বানিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলির অর্থানুকূল্যে আয়োজিত কলকাতার আলো ঝলমলে থিম-পূজা । মহানগরের দুর্গোৎসব আয়োজনের জাঁকজমক, অমিত অর্থব্যয়, প্রতিযোগিতার আবহ আর বিত্তের প্রদর্শনী দৃষ্টিকটু লাগে ঠিকই এবং আমাদের মননশীলতায় কিছু প্রশ্ন জাগায়, সত্য । কিন্তু দুর্গোৎসব বাঙালির শ্রেষ্ঠ সামাজিক যাপন তাতে তো কোন সংশয় নেই । আসলে  দুর্গা পূজকে ঘিরে যে উৎসব, যে মিলনের আবহ তৈরী হয় তা বাঙালির সামাজিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ । দুর্গা পূজো ও তাকে ঘিরে যত কিছু অনুষঙ্গ সবই বাঙালির সাংস্কৃতিক ও সামাজিক জীবনকে আস্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে । দুর্গাপূজা না থাকলে বাঙালির জীবন যেন শূন্য !

সব উৎসবের ক্ষেত্রেই একই কথা । আমাদের হতাশাগ্রস্ত সমাজে প্রীতির বন্ধন দৃঢ় করতে চায় । উৎসব শুধু আনন্দ বিনোদন নয়, উৎসবে পাই প্রাণ প্রাচুর্যের সন্ধান, উৎসব আমাদের সামাজিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ । তখন এবং এখন সর্বকালেই । ।

 

 

 

 

 

 

 

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

বাংলা গানের সেকাল একাল : পর্ব ১৬

  অন্য ধারার গান : গণসঙ্গীত ও সলিল চৌধুরী     গত শতকের চল্লিশের দশকে গণনাট্য আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আর একটি সঙ্গীতধারা সমৃদ্ধ করেছিল বাংলা কা...